ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ার ১০ ইটভাটা শ্রমিককে উদ্ধার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ

পুলিশ হেল্প লাইনে (৯৯৯) কল

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পুলিশ হেল্প লাইনে (৯৯৯) কল করে সহযোগিতা চাওয়ায় ইটভাটার বন্দিদশা থেকে পেকুয়ার ১০ শ্রমিককে উদ্ধার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা এলাকার নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন এ.কে.বি ইটভাটা থেকে বন্দি অবস্থা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে ওই শ্রমিকদের গত শুক্রবার থেকে বেধে রাখা হয়েছিল। তাদেরকে নির্যাতন করারও অভিয়োগ রয়েছে। লোহাগাড়া থানার এস আই জাকির সিকদার ওই শ্রমিকদের উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উদ্ধারকৃত শ্রমিকেরা হলেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফজল আমিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম, আজগর আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন, বাচ্ছু মিয়া, কবির আহমদের ছেলে বদন আলী, মোক্তার আহমদের ছেলে আহম্মদ কবির, নুরুল ইসলামের ছেলে জালাল উদ্দিন, আলী আহমদের ছেলে মোঃ কালু, মোক্তার আহমদের ছেলে আব্দু ছালাম, জাফর আহমদের ছেলে আশেক ও হেলাল উদ্দিন।

পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মোরার পাড়ার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, তার স্বামীসহ ওই এলাকার ১০জন শ্রমিক গত কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড় হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরা ঘোনা এলাকায় নাছির উদ্দিন মালিকাধীন এ.কে.বি নামের একটি ইটভাটায় কাজ করেন। কিন্তু গত শক্রবার থেকে ইটভাটার মালিক ওই ১০জন শ্রমিককে আটকে রেখেছে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল সেটগুলো কেড়ে নেয়া হয়েছে। কাজ আদায় করে কোন টাকাও দেয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যদের সাথেও যোগাযোগ করতে দেয়নি। আটক শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে চিরিঙ্গা ওসান সিটি মার্কেটস্থ চকরিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পুলিশ হেল্প লাইনে (৯৯৯ নাম্বারে) যোগাযোগ করা হলে লোহাগাড়া থানা পুলিশ এদিন বিকালে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

আটক থাকা অবস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিক জয়নাল আবেদীন বলেছেন, তাদেরকে দিনের বেলায় বিশেষ পাহারায় রেখে কাজ করাতো, রাতে বাসার একটি কক্ষে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হত। ওই ১০ জন শ্রমিকদের মধ্যে বুধবার ১শ্রমিক পাশের দোকানে গেলে তাকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে নির্যাতন করা হয়। এ অভিযোগে আরও কয়েকজন শ্রমিককেও মারধর করে আহত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এ.কে.বি ইটভাটার ম্যানেজার আবুল কাশেম ওই শ্রমিকদের বিশেষ পাহারা দিয়ে আটকে রাখার কথা স্বীকার করেছেন। লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) জানান; বিষয়টি জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লোহাগাাড়া থানার এসআই জাকির সিকদার জানান ওই ১০জন শ্রমিককে লোহাগাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান ইটভাটার মালিককে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: